প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'রাজধানীর পশুর হাটের নিরাপত্তায় র্যাব পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন। তিনি বলেন, 'পশুর হাটের পাশাপাশি যাত্রাপথে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি থেকে ঘরমুখো মানুষকে রক্ষা এবং অতিরিক্ত ভাড়ার ভোগান্তি লাঘবেও র্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা ঢাকার বাসাবাড়ির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। অপরাধ করে কেউ যেন পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য রাজধানীজুড়ে চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি যেন চলাচল করতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।'
'বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখো মানুষের হয়রানি লাগবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।'
-তিনি বলেন, 'হাটে জাল টাকার ছড়াছড়ি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেড় কোটি টাকার বেশি
জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।' টাকা নিয়ে কারো সন্দেহ হলে গাবতলী গরুর হাটে র্যাব ক্যাম্পে এসে তা মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
'হাটে গরু আনতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা গাবতলী এসেছেন, তারা চাঁদাবাজির শিকার হন উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা কোনও আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। এসব বিষয় কঠোর নজরদারিতে রেখেছি। হাটকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি রুখতে বিশেষ নজরদারি রয়েছে। কোনও ধরনের চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না।'
-কমান্ডার মঈন জানান, অনলাইনে বিপুল পরিমাণ গরু কেনাবেচা হচ্ছে। অনলাইনে সাইবার ওয়ার্ল্ডেও আমরা মনিটরিং করছি। ক্রেতারা যেন অনলাইনে গরু কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার না হন। হাটে এসে যেকোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে র্যাব ক্যাম্পে এসে সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
-ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজি, মলমপার্টি— এদের বিষয়েও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, 'এ ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে আমরা গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।নাগরিকরা কোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হবেন। আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।'
-তিনি বলেন, 'আমাদের গোয়েন্দারা মাঠে রয়েছেন। যারা চাঁদাবাজি করবে, রাস্তায় ডাকাতির পরিকল্পনা করবে, এ সব বিষয়ে আমরা কঠোর মনিটরিং করছি। ফাঁকা ঢাকায় যেকোনও ধরনের চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। যারা বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাবেন, তাদের বাসার সিসিটিভি যেন সক্রিয় থাকে।'
রাজধানীর নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে র্যাব
-বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে যাতে করে অপরাধীরা অপরাধী করে পালিয়ে যেতে না পারে জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা জানান, যেকোনও উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত রয়েছে।
-খন্দকার আল মঈন বলেন, 'পোশাক শ্রমিকরা অনেক সময় একসঙ্গে ছুটি পান এবং সে সময় বাড়ি যাওয়ার কারণে যানবাহনে এবং রাস্তায় ভিড় পরিলক্ষিত হয়। আমরা র্যাবের পক্ষ থেকে গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা যেন ঈদের আগে সব ধরনের বেতন-পাওনা দিয়ে ধাপে ধাপে ছুটি দিয়ে দেন।'
-তিনি বলেন, 'ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলের কারণে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। ফিটনেস বিহীন গাড়ি যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি। সরকার মোটরসাইকেল চলাচল ঈদের আগে ও পরে নিষিদ্ধ করেছে। আমরা বলছি, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল নিয়ে ভ্রমণ করবেন না।'